প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ধ্বংস হওয়া ত্রাণের পরিমাণ অন্তত এক হাজার ট্রাকের সমান। অনাদরে, পরিত্যক্তভাবে, কোনো ব্যবহার ছাড়া, পড়ে রয়েছে হাজার হাজার ত্রাণপ্যাকেট। দ্রুত ত্রানগুলো গাজায় না পাঠাতে পারলে সবই নষ্ট হয়ে যাবে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, গাজায় ত্রাণ বিতরণব্যবস্থায় ঘাটতির কারণেই এই ত্রাণ নষ্ট করতে হয়েছে। তবে বাস্তবে গাজা যখন চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে, তখন ত্রাণ আটকে রেখে তা ধ্বংস করে দেওয়াকে অনেকেই পরিকল্পিত এবং অমানবিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বনেতা ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন যাতে তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা না দেয় এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধ করে।
গত কয়েক দিনে বিশ্বের নানা শহরে গাজা অবরোধ ও ত্রাণ আটকে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি অবরুদ্ধ এলাকায় অবিলম্বে ত্রাণ পাঠানোর দাবি উঠে এসেছে।
এদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য অধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত মাইকেল ফাখরি আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, কেবল নিন্দা জানিয়ে এখন আর চলবে না, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। তাঁর ভাষায়, ‘ইসরায়েল সীমান্তে ত্রাণ স্তূপ করে রেখেছে, কিন্তু তা গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। এসব কিছুই বিশ্বের চোখের সামনেই ঘটছে।’ তিনি আরও বলেন, আরব দেশগুলোর উচিত ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর জোরালো চাপ সৃষ্টি করা।
সূত্র: আল জাজিরা